মাধবপুর (হবিগঞ্জ) ০৯ আগস্ট : সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সাথে জলবায়ু উদ্বাস্তু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদে, দলিত, হরিজনসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাক, ফ্ল্যাট, বিভিন্ন প্রকার ঘর ও মুজিববর্ষের একক গৃহে মোট ১৩ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একটি গৃহ কীভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।
এর ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের মাধবপুরেও ১ম-৪র্থ পর্যায়ে মোট ২শ ৮৯টি ঘর 'ক’ শ্রেণির পরিবার (সকল ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র) কে ঘর প্রদান করা হয়। শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা গ্রামের আব্দুল জব্বার ঘর পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। চোখের পানি ছেড়ে তিনি বলেন, তার পরিবারের ৫ জন সদস্য নিয়ে ঘর বাড়ি ছাড়া খুবই দুর্ভোগে ছিল, এখন বাড়ি পেয়ে তার পরিবার খুব খুশি।
পরবর্তী সময়ে ভুমিহীন ও গৃহহীন খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান জানান, এ পর্যায়ে শুধু ক তালিকার পূর্বের টার্গেট অনুযায়ী যারা ভূমিহীন আছে তাদেরকে গৃহ প্রদান এর মাধ্যমে ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। হবিগঞ্জে এখন শুধু আজমিরীগঞ্জ বাকি। এর পাশাপাশি খ তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার সুযোগ থাকবে এবং প্রাকৃতিক নদী ভাঙ্গন সহ আরো বিভিন্ন কারণে যদি পরবর্তীতে ভূমিহীন পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তাদের এই কার্যক্রমের আওতায় আনা যাবে।
বুধবার সকালে উপজেলা হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪র্থ পর্যায়ের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক ,স্থানীয় সরকার সাদিকুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan